নীলাভ জলরাশি বা (Milky Sea Phenomenon)



মালদ্বিপের রাতের সমুদ্র সৈকত

ভারত মহাসাগরের মালদ্বীপে রাতের বেলায় নীলাভ জলরাশির আবির্ভাব। আসিফ সৈকতে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে দেখতে দেখতে ভাবল; রাতের বেলায় পানির রঙ নীলাভ হল কেন ?” সে গুগুল অনুসন্ধানে (Milky Sea Phenomenon) দিয়ে, উন্মোচন করল সমুদ্রের এক মজার রহস্য। 


সাধারণত vibrio নামের একধরনের সামুদ্রিক ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতির জন্য এই রঙিন আভার উদ্ভব। এ ঘটনাটি হল জীববিকিরণ (Bioluminescence)।Noctiluca scintillans নামে সামুদ্রিক ডাইনোফ্লাজিলেট (dinoflagellate) ক্ষুদ্র প্রাণিতে এ ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস। 

পৃথিবীতে খুব কম প্রাণিই চোখে পড়ে, যারা রাতের বেলায় আলো প্রদর্শন করে। আর আমাদের চেনা-জানা কাছের প্রাণিটি হল “জোনাকি পোকা”। ছোটবেলায় এর পিছনে ঘুরে ঘুরে, হাতে রে, কিংবা বোতলে জমিয়ে খেলা করিনি খুবই কমজনই আছি। “জোনাকি” এর এমন রহস্যের কারন তাদের দেহে বিদ্যমান “লুসিফেরিন” ও “লুসিফেরেজ” নামের একধরনের এনজাইম (উৎসেচক) বা রাসায়নিক পদার্থ।  এ “লুসিফেরিন” শরীরে বিদ্যমান অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO2) ও আলোশক্তি(Light Energy) উৎপন্ন করে। এই আলোকশক্তিই নীলাভ হয়ে দেখায় যায়, যা প্রকৃতপক্ষে সাদা। যাকে নামকরন করা হয় (Milky Sea Phenomenon)। সমুদ্রে এদের সংখ্যা অগণিত। সামান্য ঢেউ এর কারনে এরা জ্বলে উঠে।



গভীর সমুদ্রতলে বিভৎস জীববিকিরণ মাছ।

সামুদ্রিক কিছু ব্যাক্টেরিয়ার মাঝে প্রতিনিয়ত এই রাসায়নিক বিক্রিয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝে খবর পাওয়া যায় সমুদ্রের গভীরে অন্ধকারে বিভৎস প্রাণি আলো উৎপন্ন করতে পারে। কিন্তু যেসব প্রাণি আলো তৈরি করে, তাদের চোখে বা গায়ে এই ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস। আর এই নীলাভ আলো দিয়ে তারা শিকারকে আকর্ষণ করে বা শিকারি থেকে রক্ষা পায়।








তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
নামঃ রাশেদুল ইসলাম
মেরিন সায়েন্স
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।


  • Digg
  • Del.icio.us
  • StumbleUpon
  • Reddit
  • Twitter
  • RSS

0 Response to "নীলাভ জলরাশি বা (Milky Sea Phenomenon)"

Post a Comment